/home/admssnxp/smarty/en/templates_c/fbb41b938159df723fcd0924c64def671fc3756d.file.singlelink.tpl.php on line
গত ১৭ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিবের স্বাক্ষরে চিঠিটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিপুলসংখ্যক অবৈধ ক্যাম্পাস থাকলেও মাত্র ১৯টি ক্যাম্পাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে ইউজিসির পরিচালক সামসুল আলম জানান, অবৈধ ক্যাম্পাসগুলো আদালতের স্থিতাবস্থার আদেশ নিয়ে চলছে। যেসব অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনার ক্ষেত্রে সরকার কিংবা ইউজিসি থেকে মামলা দায়ের করা হয়নি, সেগুলো বন্ধের ব্যাপারেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ ক্যাম্পাস খুলে সার্টিফিকেট বাণিজ্য চালাচ্ছে এর তালিকা তৈরি করেছে ইউজিসি। এর মধ্য থেকে যেগুলো বন্ধের জন্য পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের মতিঝিল, রাজশাহী ও খুলনা ক্যাম্পাস; দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উত্তর বাড্ডা ও পুরানা পল্টন ক্যাম্পাস; প্রাইম ইউনিভার্সিটি মিরপুর গ্রুপের ধানমণ্ডি, বাড্ডা, ফার্মগেট ও মিরপুর ক্যাম্পাস; প্রাইম ইউনিভার্সিটি উত্তরা গ্রুপের উত্তরা ক্যাম্পাস, নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কারওয়ান বাজার ও ঢাকা কলেজের বিপরীতের ক্যাম্পাস; চট্টগ্রামের সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের দামপাড়া, ও আর নিজাম রোড ও হালিশহর ক্যাম্পাস এবং অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরা, পান্থপথ, পুরানা পল্টন ও মিরপুর ক্যাম্পাস।
অভিযোগ রয়েছে, দেশের মোট ৭৮টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান দেশের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ক্যাম্পাস খুলে রীতিমতো সার্টিফিকেট বাণিজ্য চালাচ্ছে। অবৈধ বাণিজ্য চালাতে গিয়ে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় মালিকানা দ্বন্দ্বে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রাইম ইউনিভার্সিটি চার গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপেরই সারা দেশে শতাধিক ক্যাম্পাস রয়েছে। এসব অবৈধ ক্যাম্পাস থেকে সার্টিফিকেট নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ইউজিসি তাঁদের সার্টিফিকেটের স্বীকৃতি দিচ্ছে না। চাকরির ক্ষেত্রেও ওই সব সার্টিফিকেটধারী বাধার মুখে পড়ছেন। আইন বিষয়ের সনদধারীরা সম্প্রতি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। একইভাবে লাইব্রেরি সায়েন্সের সনদধারীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহকারী লাইব্রেরিয়ান হিসেবে চাকরি পেলেও এমপিওভুক্ত হতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
এদিকে আদালতের স্থিতাবস্থার সুযোগ নিয়ে যেসব বিশ্ববিদ্যালয় অবৈধ ক্যাম্পাস পরিচালনা করছে, সেগুলো বন্ধের ব্যাপারেও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত ২২ আগস্ট শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অ্যাটর্নি জেনারেলের উপস্থিতিতে সভা হয়েছে। সব মামলা একটি আদালতে এনে মীমাংসার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সুত্রঃ কালের কণ্ঠ