/home/admssnxp/smarty/en/templates_c/fbb41b938159df723fcd0924c64def671fc3756d.file.singlelink.tpl.php on line
226
Warning: Attempt to read property "value" on null in
/home/admssnxp/smarty/en/templates_c/fbb41b938159df723fcd0924c64def671fc3756d.file.singlelink.tpl.php on line
226
link_
Warning: Undefined array key "zebra" in
/home/admssnxp/smarty/en/templates_c/fbb41b938159df723fcd0924c64def671fc3756d.file.singlelink.tpl.php on line
227
Warning: Attempt to read property "value" on null in
/home/admssnxp/smarty/en/templates_c/fbb41b938159df723fcd0924c64def671fc3756d.file.singlelink.tpl.php on line
227
">
প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক ও দাখিল পর্যায়ে মোট ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য বই ছাপানো হয়েছে ২৯ কোটি ৭৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮৬টি। এছাড়া এ বছর প্রথম প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ১ কোটি ৬০ লাখ বই বিতরণ করা হবে।
|
হরতাল অবরোধেও যথা সময়ে নতুন বই |
বছরের প্রথম দিনেই সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে নতুন বই। টানা অবরোধের মধ্যেও বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) দেশের প্রতিটি স্কুলে পৌঁছে দিচ্ছে নতুন বই।
তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিছু বই পৌঁছতে বাকি থাকলেও সেনা মোতায়েনের পর সেগুলো দ্রুত পৌঁছে যাবে। নতুন বছরের উপহার হিসাবে ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭২ জন শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে বলেও আশাবাদী এনসিটিবি।
|
|
Post Date: 2013-12-13 05:21:05
টানা হরতাল অবরোধে ১ জানুয়ারিতে সকল শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দিতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শফিকুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমরা আগে থেকে জানতাম সরকারের শেষ সময় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশে অস্থিরতা বিরাজ করবে। তাই আমাদের প্ল্যানে এই বিষয়গুলো ছিলো। হরতাল অবরোধে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি। তবে অবরোধে মুদ্রণ মালিকদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তারা বই পৌঁছে দিতে গিয়ে পথে নানা রকম বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। অন্য সময়ের তুলনায় তারা অনেক বেশি ভাড়া গুনছেন ।’
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বিতরণ শাখার প্রধান মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া বাংলামেইলকে বলেন, ‘টানা অবরোধ ও হরতালের মধ্যে যাথসময়ে জেলা ও উপজেলার পর্যায়ে বই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এখন শিক্ষা অফিসাররা বিভিন্ন স্কুলে বই পৌঁছে দেবেন। এর জন্য তাদের যাবতীয় খরচও দেওয়া হবে।’
মোস্তাক আহমেদ আরো জানান, প্রাথমিক, ইবতেদায়ী, মাধ্যমিক ও দাখিল পর্যায়ে মোট ৩ কোটি ৭৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬৭২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর জন্য বই ছাপানো হয়েছে ২৯ কোটি ৭৪ লাখ ৭৩ হাজার ৩৮৬টি। এছাড়া এ বছর প্রথম প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ১ কোটি ৬০ লাখ বই বিতরণ করা হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘চাহিদা মোতাবেক ৩০ কোটি বই ছাপানো হয়েছে। বেশির ভাগ বই বিভিন্ন স্কুলে পৌঁছে গেছে।’
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমরা যথাসময়ে বই পৌঁছানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে রাস্তায় বাঁধার কারণে চট্টগ্রাম থেকে কাগজ সময় মতো আনতে পারিনি। এ কারণে বই ছাপাতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।’
১ জানুয়ারিতে বইয়ের ঘাটতি দেখা যাবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শতকরা ১০ ভাগ বই নির্দিষ্ট সময়ে দিতে পারবো না। তবে ক্রাইসিস দেখা যাবে না। অনেক স্কুল তাদের শিক্ষার্থীর তুলনায় বইয়ের চাহিদা বেশি দিয়ে থাকে।’
অবরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে বই পাঠাতে গিয়ে কি ধরনের বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেখানে ভাড়া ১৫ হাজার, সেখানে আমাদের ভাড়া গুনতে হচ্ছে ৫০ হাজার টাকা। তারপরও গাড়ি পাওয়া যায় না।’
মুদ্রণ শিল্প মালিক সমিতির পক্ষ থেকে যারা এনসিটিবির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের সুদ মওকুফের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভেড়ামারা উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাংলামেইলকে বলেন, ‘ক্লাস থ্রি এবং ফোর বাদে সব বই হাতে পেয়েছি। ঢাকায় যোগাযোগ করা হয়েছে, ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সেগুলোও পৌঁছে দেবে বলে এনসিটিবি আশ্বস্ত করেছে।’
বান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার কবির আহমেদ বাংলামেইলকে বলেন, ‘আমাদের হাতে সব বই চলে এসেছে। যেসব স্কুলে বই পাঠানো হয়নি দুএকদিনের মধ্যে বই চলে যাবে।’
বান্দরবানের খানচিবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পরিতোষ দাস বাংলামেইলকে বলেন, ‘১ জানুয়ারি স্কুলের সব শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিতে পারবো। ইতোমধ্যে স্কুলে সব বই পৌঁছে গেছে।’
এ ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ ২৬ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন বলে জানা গেছে।
সুত্রঃবাংলামেইল